ঢাকা: কয়েকদিন আগেও বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রচুর সাকার ফিশ দেখা গেলেও বর্তমানে এই মাছের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। নদীতে সাকার ফিশ ধরার জন্য পরিচিত জেলেদের মধ্যে ফজলু মিয়া অন্যতম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই মাছ ধরছেন এবং তার ধরা সাকার ফিশের পরিমাণ অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ফজলুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় তিনি নৌকা বোঝাই করে সাকার ফিশ বিক্রি করছেন। এক সময় বুড়িগঙ্গায় প্রচুর শিং মাছ পাওয়া যেত, তবে বর্তমানে সেগুলোর সংখ্যা কমে গেছে।
সাকার ফিশ মূলত অ্যাকুরিয়ামের কাচ পরিষ্কার রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি শ্যাওলা খেয়ে ফেলে। ধারণা করা হয়, বিদেশ থেকে আসা এই মাছ কোনোভাবে দেশের জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াটিক স্টাডিজ অনুযায়ী, সাকার ফিশ দক্ষিণ আমেরিকার মাছের একটি প্রজাতি। কিন্তু বর্তমানে এটি দক্ষিণ এশিয়ার জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বিভিন্ন নদী ও জলাধারে এই মাছের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এমনকি উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেও এটি ছড়িয়ে পড়েছে।
সাকার ফিশের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় রেখে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার এই মাছের আমদানি, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, গ্রহণ, বাজারজাতকরণ ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করে।
🚨 আপনার এলাকায় এখনো সাকার ফিশের আধিক্য আছে কি? মতামত জানান কমেন্টে!
