Close Menu
ভিউজ

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.

    What's Hot

    হ্যাকারদের ম্যালওয়্যার ক্যাম্পেইন ও রেড টিম অ্যাসেসমেন্ট

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের উদ্বেগ: এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বক্তব্য

    চেয়ার যায়, চেয়ার আসে, ফ্যাসিবাদ রয়ে যায়। সমাজ, রাষ্ট্র, সংগঠন সব জায়গায় ফ্যাসিবাদ।

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Wednesday, November 5
    Facebook YouTube X (Twitter) Instagram
    ভিউজ
    • সর্বশেষ
    • জাতীয়
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • সারাদেশ
    • খেলা
    • অন্যান্য
      • তথ্যপ্রযুক্তি
      • জীবনধারা
      • বিনোদন
      • ধর্ম
      • প্রবাস
      • ভ্রমণ
      • স্বাস্থ্য
      • সূফী-দর্শন
    Subscribe
    ভিউজ
    You are at:Home » ডিসেম্বরের শেষে জাতীয় নির্বাচনের চিন্তা, কোন দল কী ভাবছে
    জাতীয়

    ডিসেম্বরের শেষে জাতীয় নির্বাচনের চিন্তা, কোন দল কী ভাবছে

    tareklincolnBy tareklincolnFebruary 14, 2025Updated:February 14, 2025No Comments7 Mins Read446 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    এ বছরের ডিসেম্বরের শেষার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার চিন্তা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনও ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

    তবে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি চলতি বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চাইলেও জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে নয়। তারা চায় প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন হোক। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন নয়, গণপরিষদ নির্বাচন চায়।

    এ অবস্থায় আগামীকাল শনিবার থেকে ছয়টি কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই আলোচনা কত দিন চলবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। এ আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে একটি পথনকশা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের অন্যতম লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনা। এ জন্য ১১টি সংস্কার কমিশনও গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এসব প্রস্তাব নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের’ সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে আগামীকাল থেকে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, সংস্কারে জোর দিলেও বিভিন্ন খাতে, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার। এমন অবস্থায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচিত সরকার না এলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে, এমন আশঙ্কার কথাও আলোচনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দাবি জোরালো হতে শুরু করেছে।

    গত ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ের কথা জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, অল্প সংস্কার করে নির্বাচন চাইলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে আর আরেকটু বেশি সংস্কার করে নির্বাচন চাইলে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মাথায় এসে নির্বাচনের জন্য চাপ বাড়তে শুরু করেছে। এখন সরকার আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচন আয়োজন করার কথা ভাবছে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবিও আছে কোনো কোনো পক্ষের। এ বিষয়েও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি সরকার। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার পর অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

    এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে এক অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তাঁর সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করবে। এ বছরের ডিসেম্বরে তা হতে পারে। পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করছেন। তারপরও আরও কিছু সংস্কারের জন্য যদি সময় নেওয়া হয়, তাহলে সেটা আগামী বছরের তিন মাস হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা আমাদের সরকারের সময়সীমা। তারপর ১৬ বছরের মধ্যে একটি যথাযথ নির্বাচন—একটি বিশ্বাসযোগ্য, দৃশ্যমান ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে আমরা সন্তুষ্ট হব। জনগণ এটা উদ্‌যাপন করবে এবং আমাদের দায়িত্ব শেষ হবে।’

    অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ব্যাপারে প্রথম থেকেই দুটো সময়সীমার কথা বলে আসছিলেন। একটা হচ্ছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে, আরেকটা হচ্ছে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে। প্রধান উপদেষ্টার কথা শুনে যেটা বুঝতে পারি সেটা হচ্ছে, সরকারের প্রথম লক্ষ্য থাকবে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করে ফেলা এবং তার আগে অবশ্যই কিছু মৌলিক সংস্কার সাধন করা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। কোনো কারণে যদি এই ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব না হয়, তাহলে দু–এক মাস বা তিন মাস পেছানো; কিন্তু এটা জুনের আগে হবেই।’

    নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি

    নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে একাধিকবার বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন ধরে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসি সূত্র জানায়, তারা মনে করছে ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরের মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে। নির্বাচনের আগে মোটাদাগে বড় প্রস্তুতির মধ্যে আছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন এবং প্রয়োজনীয় কেনাকাটার মতো কাজগুলো শেষ করা। এগুলোর জন্য একটু লম্বা সময় প্রয়োজন হয়। এর বাইরে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, ব্যালট পেপার তৈরির মতো কাজগুলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর শুরু করা হয়।

    ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। তবে এই হালনাগাদের তথ্য ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে আগামী বছরের মার্চে। এর আগে নির্বাচন হলে এবং হালনাগাদে যাঁরা ভোটার হচ্ছেন, তাঁদের ভোটাধিকার দিতে হলে আইনে কিছুটা সংশোধনী আনার প্রয়োজন হতে পারে।

    ইসি সূত্র জানায়, সীমানা নির্ধারণ, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধনের মতো কাজগুলো এখনই ইসি শুরু করতে পারছে না। কারণ, এসব বিষয় নিয়ে সংস্কার কমিশনের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে আইন ও বিধির সংশোধন প্রয়োজন। এ ছাড়া নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশেও অনেকগুলো সংশোধনী প্রস্তাব করেছে সংস্কার কমিশন। তারা এখন মূলত এসব বিষয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হলে অধ্যাদেশ করে আইন পরিবর্তন করে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে ইসি। অন্যদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে ইসি।

    রাজনৈতিক অঙ্গনেও চলছে প্রস্তুতি

    বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রস্তুতিও নিচ্ছে। নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ কিছু দাবিতে গত বুধবার থেকে কর্মসূচি শুরু করেছে দলটি। পাশাপাশি সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জামায়াতে ইসলামীর বাইরে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের সঙ্গেও বিএনপির আলোচনা চলছে। বিএনপি সূত্র জানায়, মূলত নির্বাচন প্রশ্নে যাতে দলগুলো অভিন্ন অবস্থান নেয়, সে লক্ষ্যে এসব আলোচনা চলছে। পাশাপাশি নির্বাচনে আসন সমঝোতার বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে।

    সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গত সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। বিএনপি সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে কাজ করছে। এতে স্থায়ী কমিটি আশাবাদী হয়েছে। তবে তারা নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছে না।

    গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, যত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন হবে, ততই রাজনীতি সহজ হবে, বাংলাদেশের মানুষ স্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে আসবে। নির্বাচনটা হওয়া দ্রুত দরকার দুটি কারণে। একটি হচ্ছে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসা, অন্যটি সুশাসন চালু করা।

    বিএনপির এক সময়ের জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা ইতিমধ্যে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে কিছু আসনের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তারা বিএনপির মতো নির্বাচনের জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে নয়। গতকাল জামায়াতের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ২৩ দফা দাবি জানায়।

    বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ‘নো ইলেকশন উইদাউট রিফর্মস’। তিনি বলেন, অন্তত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান ও বিভাগ জড়িত, সেগুলোর সংস্কার করেই জাতীয় সংসদের নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। গত তিনটি নির্বাচনে জনগণ যে ভোট দিতে পারেনি, সেই নির্বাচনেরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে।

    অন্যদিকে আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তিনটি বিতর্কিত ও সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে গুম-খুন করে এই দল স্বৈরাচারী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছিল—এমন অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা বা নির্বাচন থেকে দূরে রাখার দাবি আছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

    জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রশ্নেও বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতভিন্নতা আছে। গতকাল ইসির সঙ্গে বৈঠকের পর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জনগণ চায়, স্থানীয় নির্বাচন আগে হোক।

    এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাওয়াকে রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।

    রাজনৈতিক কিছুটা মতভিন্নতা থাকলেও সংস্কার ও নির্বাচনকে একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন নিজেই সংস্কারের অংশ। তবে নির্বাচনের আগে কিছু সংস্কার প্রয়োজন। আর সংবিধানসহ কিছু কাঠামোগত সংস্কারের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন।

    নাগরিক কমিটির অবস্থান ভিন্ন

    গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করছেন। চলতি মাসের মধ্যে এই দল আত্মপ্রকাশ করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা এই দলের নেতৃত্বে থাকছেন। তাঁরা নির্বাচনের আগে সংস্কারের পক্ষে। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু থেকে সংস্কারের আগে সংসদ নির্বাচন না দেওয়ার কথা বলে আসছে। তারা মনে করছে, দেশে সংস্কার আনতে হলে সবার আগে সংবিধান সংস্কার প্রয়োজন। সংবিধান সংস্কার না করে জাতীয় নির্বাচন করা হলে সংস্কারের লক্ষ্য ব্যাহত হবে। তাই আগে গণপরিষদ নির্বাচন করে সংবিধান সংস্কার করতে হবে। এরপর নতুন সংবিধানের আলোকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।

    জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংস্কার না করে সংসদ নির্বাচন দিলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে। এ ছাড়া বর্তমান সংবিধান বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য আগে গণপরিষদের নির্বাচন হতে হবে। আমরা আগামী ডিসেম্বরে গণপরিষদ নির্বাচন চাই।’

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ততটুকু সংস্কার হোক। পরবর্তী সংস্কারগুলো একটি নির্বাচিত সরকারকে অবশ্যই করতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকেও এমন বক্তব্য আসছে। এখানে আশার কথা হলো, সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ, আলোচনা হচ্ছে।

    latest
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleভালোবাসা দিবস: এক আবেগময় উৎসব
    Next Article অর্থনীতি: একটি সামগ্রিক বিশ্লেষণ
    tareklincoln
    • Website

    Related Posts

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের উদ্বেগ: এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বক্তব্য

    March 18, 2025

    চেয়ার যায়, চেয়ার আসে, ফ্যাসিবাদ রয়ে যায়। সমাজ, রাষ্ট্র, সংগঠন সব জায়গায় ফ্যাসিবাদ।

    March 13, 2025

    পাঁচ তারকা হোটেলে ইফতার পার্টির ব্যয় ও মান নিয়ে বিতর্ক

    March 13, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Demo
    Top Posts

    আইপিএলের শুরু পিছিয়ে গেল এক দিন

    February 14, 20251,006 Views

    বুড়িগঙ্গা নদীতে সাকার ফিশের আধিক্য কমে গেছে

    March 9, 2025875 Views

    শামস তাবরিজ (Shams Tabrizi) এর জীবনী

    March 4, 2025870 Views

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের উদ্বেগ: এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বক্তব্য

    March 18, 2025869 Views
    Don't Miss
    Featured March 26, 2025

    হ্যাকারদের ম্যালওয়্যার ক্যাম্পেইন ও রেড টিম অ্যাসেসমেন্ট

    সাইবার নিরাপত্তা ও হ্যাকিং নিয়ে বাংলাতে খুব কম ভিডিও পাওয়া যায়। বিশেষ করে, Red Team…

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের উদ্বেগ: এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বক্তব্য

    চেয়ার যায়, চেয়ার আসে, ফ্যাসিবাদ রয়ে যায়। সমাজ, রাষ্ট্র, সংগঠন সব জায়গায় ফ্যাসিবাদ।

    পাঁচ তারকা হোটেলে ইফতার পার্টির ব্যয় ও মান নিয়ে বিতর্ক

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from SmartMag about art & design.

    Demo
    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    About Us
    About Us

    সত্যের পথে চলার মাঝেই প্রকৃত আনন্দের সন্ধান মেলে। মিথ্যার মোহ ক্ষণস্থায়ী সুখ দিলেও শেষ পর্যন্ত অশান্তির কারণ হয়। অন্যদিকে, সত্যনিষ্ঠ জীবন মানুষের মনে প্রশান্তি ও আত্মবিশ্বাস এনে দেয়। সত্যের আলোয় পথচলা মানে নৈতিক শক্তি অর্জন করা, যা মানুষকে পরিপূর্ণতা দেয়। যখন কেউ সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী হয়, তখন তার হৃদয়ে এক অনির্বচনীয় আনন্দের সঞ্চার হয়, যা কোনো ভৌতিক সম্পদ দিতে পারে না।

    Facebook X (Twitter) Pinterest YouTube WhatsApp
    Our Picks

    হ্যাকারদের ম্যালওয়্যার ক্যাম্পেইন ও রেড টিম অ্যাসেসমেন্ট

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের উদ্বেগ: এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বক্তব্য

    চেয়ার যায়, চেয়ার আসে, ফ্যাসিবাদ রয়ে যায়। সমাজ, রাষ্ট্র, সংগঠন সব জায়গায় ফ্যাসিবাদ।

    Most Popular

    পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিধান করার সুপারিশ

    February 14, 20256 Views

    ট্রাম্পের USAID-এর ওপর আক্রমণ বিশ্বে কী প্রভাব ফেলবে

    February 15, 202533 Views

    Actor Death: ২৬ বছরেই সব শেষ, হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ গেল তরুণ অভিনেতার…

    February 17, 2025172 Views
    © 2025 ভিউজ. Designed by Tarek Lincoln.
    • হোম
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • আন্তর্জাতিক
    • জীবনধারা
    • Privacy Policy
    • About Us
    • Contact Us

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.